লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত আন্দোলন চলবে
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম
অভীষ্ট লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত চলমান আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে আবারো ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বেগম খালেদা জিয়া এ ঘোষণা দেন।
বিবৃতিতে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমার ছোট ছেলের মৃত্যুতে শোকাবহ অবস্থার মধ্যে রয়েছি। এ বিপর্যয়ের ধকল কাটিয়ে ওঠার আগেই আমার সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সুপরিকল্পিতভাবে সর্বমুখী চাপ ও অনিরাপদ পরিস্থিতি তৈরি করে তাঁরা আমাকে জনগণ ও নেতা-কর্মী থেকে বিচ্ছিন্ন করতে সচেষ্ট। কিন্তু আমি সবাইকে পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, কোনো অনৈতিক চাপ বা ভীতির মুখে আমি নত হব না, ইনশা আল্লাহ। যেকোনো পরিস্থিতি বা পরিণতির জন্য আমি তৈরি আছি।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কার ভাষায় আবারও বলতে চাই, মানুষের জীবন নিয়ে অপরাজনীতি আমরা করি না। হত্যা ও লাশের রাজনীতির সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
এমন হীন ও নৃশংস অপরাজনীতি আমরা কখনো করব না। এখন যারা ক্ষমতা আঁকড়ে আছে, তারাই অতীতে আন্দোলনের নামে যাত্রীবাহী বাসে গান পাউডার দিয়ে আগুন লাগিয়ে ডজন খানেক মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। লগি-বৈঠার তাণ্ডবে মানুষ হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করেছে। লাগাতার হরতালে এসএসসি পরীক্ষা তিন মাস পর্যন্ত পেছাতে বাধ্য করেছে।’
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, অতীতের ধারাবাহিকতায় নিরপরাধ মানুষকে নৃশংস পন্থায় হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে। এর দায় চাপিয়ে আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রচার মাধ্যমে অপপ্রচার ও বিরোধী দলকে এ সুযোগে দমন করার অপরাজনীতি ব্যর্থ হবে। বাংলাদেশের মানুষ এত বোকা নেই।
বিবৃতিতে দলীয় নেতাকর্মীদের হত্যা, গুম, বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্যাতন হামলা ও আটক নেতাকর্মীদের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক অত্যাচারের মধ্যেও আন্দোলন চালিয়ে রাখার জন্য নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
বেগম জিয়া বলেন, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন চলছে। দেশবাসীর আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটিয়ে শান্তিপুর্ণ আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানো না পর্যন্ত আন্দোলন চলতে থাকবে। সবাইকে এ আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী শাসকদের একদলীয় ধাঁচের স্বৈরশাসন কায়েমের অপতৎপরতার কারণে অতীতে দেশ জঙ্গিবাদের কবলে পড়েছিল। আমরা তা দমন করেছিলাম। আজ আবার তারা একই কায়দায় উদারনৈতিক রাজনীতির ধারাকে নিশ্চিহ্ন করতে যে চণ্ডনীতি অবলম্বন করছে, তাতে আবারও সেই একই আশংকা দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, এতে কেবল বাংলাদেশ নয়, পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। আমরা এই কঠিন বাস্তবতার দিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবং জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পক্ষে সোচ্চার হওয়ার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রতিক্ষণ /এডি /ঝর্ণা